নবম শ্রেণির বাংলা ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’

নবম শ্রেণির বাংলা ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’
অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর : ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’(মুকুন্দ চক্রবর্তী)
নবম শ্রেণি বাংলা | • কমবেশি ১৫ টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও : (প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
১.’কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি কার লেখা, কোন্ কাব্যের অন্তর্গত ?
উত্তরঃ কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি মধ্যযুগের কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত ‘অম্বিকামঙ্গল’ কাব্যের অন্তর্গত।
২. মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীযাল কাব্যটি অন্য কী কী নামে পরিচিত ?
উত্তরঃ মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যটি ‘অভয়ামঙ্গল’,’চন্ডিকামঙ্গল’, ‘কবিকঙ্কণ চণ্ডী’,’অম্বিকাঙাল’ প্রভৃতি নামেও পরিচিত।
৩, মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমণ্ডল কাব্যটির ক-টি খণ্ড ও কী কী ?
উত্তরঃ মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যটির দুটি খণ্ড, যথা— আখেটিক খণ্ড এবং বণিক খন্ড।
৪. কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ চণ্ডীমণ্ডল কাব্যের কোন্ খণ্ডের অন্তর্গত ?
উত্তরঃ ‘কলিদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খন্ডের অন্তর্গত।
৫. “দেখিতে না পায় কেহ অঙগ আপনার’— কলিঙ্গবাসী নিজেদের অঙ্গ দেখতে পাচ্ছে না কেন ?
উত্তরঃ চারদিকের আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন হওয়ায় সমগ্র কলিঙ্গদেশ অন্ধকারে ঢেকে গেছে, ফলে কলিঙ্গবাসী নিজেদের অঙ্গ দেখতে পাচ্ছেন না।
৬. উচ্চনাদে কলিঙ্গ দেশে কীসের ডাক শােনা গিয়েছে ?
উত্তরঃ ঘন মেঘে ঢাকা কলিঙ্গের আকাশে জোরে জোরে মেঘের ডাক শােনা গিয়েছে।
৭. ‘প্রলয় গনিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ।’— মন্তব্যটির অর্থ লেখাে। অথবা, কলিঙ্গের প্রজাদের মন বিষাদগ্রস্ত কেন ?
উত্তরঃ চারদিক মেঘে ঢাকা অবস্থায় মুশলধারে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঘনঘন মেঘের ডাকে প্রজারা ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কায় বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
৮, ‘হুড় হুড় দুড় দুড় বহে ঘন ঝড়।’— উক্তিটির তাৎপর্য কী ?
উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটিতে কলিঙ্গদেশে মেঘের প্রবল গর্জন এবং মুশলধারে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে যে প্রচন্ড ঝড় হচ্ছিল তার ভয়ানক রূপ প্রকাশ পাচ্ছে।
৯. ‘বিপাকে ভবন ছাড়ি গ্রজা দিল রড়’— কোন্ বিপাকে পড়ে প্রজারা পালিয়েছিল ?
উত্তরঃ মুশলধারায় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ভয়ংকর ঝড়ের তাণ্ডবে আসন্ন পদ্যেকেথা ভেবে প্রজারা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল।
১০ .শ্রীকবিকঙ্কণ কার উপাধি ?
উত্তরঃ শ্রীকবিকঙ্কণ কবি মুকুন্দ চক্রবর্তীর উপাধি।
১১. ‘ধূলে আচ্ছাদিত হইল যে ছিল হরিত’— লাইনটির অর্থ লেখাে।
উত্তরঃ উস্তৃত পত্তিটির অর্থ হল সবুজ শস্যখেত ধুলােয় ঢেকে গেল।
১২. প্রজা চমকিত হল কেন ?
উত্তরঃ বিধ্বংসী ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডবে সমগ্র কলিঙ্গদেশ ধুলােয় ডেকে যায়।এবং প্রবল দুর্যোগে শস্যখেতের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রজারা চমকিত হয়।
১৩. ‘চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ’– ‘চারি মেঘ’-এর নাম লেখাে।
উত্তরঃ ‘চারি মেঘ’ হল সম্বৰ্ত, আবর্ত, পুষ্কর এবং দ্ৰোণ।
১৪. চারদিকে মেঘে জল দেয় কারা ?
উত্তরঃ কলিঙ্গদেশে প্রবল ঝড়বৃষ্টির সময় চারদিকে মেঘে জল দিয়েছিল ‘অষ্ট গজরাজ’ বা আটটি শ্রেষ্ঠ হাতি।
১৫. জলধারার বর্ষণকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ?
উত্তরঃ জলধারার প্রবল বর্ষণকে করি-কর অর্থাৎ হাতির শুঁড় দিয়ে জল তোলার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
১৬. ‘কারাে কথা শুনিতে না পায় কোন্ জন।’— কারও কথা শুনতে না পাওয়ার কারণ কী ?
উত্তরঃ প্রবল বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বারবার মেঘের প্রবল গর্জনে কলিঙ্গবাসী কেউ কারও কথা শুনতে পাচ্ছিল না।
১৭. মেঘ ঝড়বৃষ্টির থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কলিঙ্গবাসী কার কথা স্মরণ করেছেন ? অথবা, কলিঙ্গবাসী জৈমিনিকে স্মরণ করে কেন ?
উত্তরঃ মেঘ ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কলিঙ্গবাসী ঋষি জৈমিনির কথা স্মরণ করেছেন।
১৮. ‘না পায় দেখিতে কেহ রবির কিরণ’— রবির কিরণ দেখতে না পাওয়ার কারণ কী ?
উত্তরঃ ভয়ংকর কালাে মেঘে চারদিক ডেকে গিয়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে কেউ সূর্যরশ্মি দেখতে পাচ্ছিল না।
১৯. গর্ত ছেড়ে কারা জলে ভেসে বেড়াচ্ছে ?
উত্তরঃ প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে কলিঙাদেশ জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় গর্ত ছেড়ে সাপ জলে ভেসে বেড়াচ্ছে।
২০. কলিঙ্গদেশে কত দিন টানা বৃষ্টিপাত হয়েছিল ?
উত্তরঃ কলিঙ্গদেশে টানা সাত দিন প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছিল।
২১. সাত দিনের বৃষ্টিতে কৃষিকাজ ও ঘরবাড়ির কী ক্ষতি হল ?
উত্তরঃ সাত দিনের বৃষ্টিতে শস্যখেত জলে ডুবে যাওয়ায় ফসল নষ্ট হয়ে গেল এবং প্রবল শিলাবৃষ্টিতে বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেল।
২২. “ভাদ্রপদ মাসে যেন পড়ে থাকা তাল’— কবি কোন বিষয়ের সঙ্গে এমন তুলনা করেছেন ?
উত্তরঃ প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ঘরের চাল ভেদ করে যে শিল মেঝেতে এসে পড়ে তার সঙ্গে ভাদ্র মাসের পাকা তালের তুলনা করা হয়েছে।
২৩. কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি’ কাব্যাংশে শিল পড়াকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘কলিজাদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কাব্যাংশে বড়াে আকারের শিল পড়াকে ভাদ্র মাসে তাল পড়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
২৪. ‘চণ্ডীর আদেশ পান বীর হনুমান।’— আদেশ পেয়ে হনুমান কী করেছিল ?
উত্তরঃ দেবী চণ্ডীর আদেশ পেয়ে বীর হনুমান মঠ, অট্টালিকা ভেঙে খানখান করেছিল।
২৫. ‘উঠে পড়ে ঘরগুলা করে দলমল’— এর কারণ কী ?
উত্তরঃ পর্বতের সমান নদীর ঢেউয়ের দাপটে কলিঙ্গদেশের বাড়িঘর জলে ভাসতে ভাসতে টলমল করছিল।